Friday, August 29, 2025
HomeScroll২৩শে জানুয়ারি নেতাজি জয়ন্তী, কেন এই দিনের নাম ‘পরাক্রম দিবস’

২৩শে জানুয়ারি নেতাজি জয়ন্তী, কেন এই দিনের নাম ‘পরাক্রম দিবস’

২৬শে জানুয়ারির (26 january) আগে যে দিনটি আমাদের সামনে আসে সেটি হল ২৩ শে জানুয়ারি (23 january)। গোটা দেশ সহ যে নামটি নিয়ে বাঙালি আজও গর্ব অনুভব করে সেই নাম হল নেতাজি (Netaji) সুভাষচন্দ্র বসু (Subhas Chandra Bose) । দেশের প্রকৃত এক নির্ভীক নেতা ছিলেন তিনি।  আর কয়েকদিন পরেই ২৩ শে জানুয়ারি। এই মহান নেতা, বীর পুত্রের জন্য জন্মদিন শ্রদ্ধার (Respect) সঙ্গে পালিত হবে।

সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটকে জন্ম নেন।  তাঁর পিতা জানকীনাথ বসু ও মাতা প্রভাবতী দেবী।

আরও পড়ুন: ভারতের প্রথম ‘আন্ডার-সি’ টানেল, কাজ পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের (Freedom struggle) অন্যতম প্রধান পথিকৃত ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এক প্রবল পরাক্রমী ব্যক্তিত্বধারী মানুষ ছিলেন। তাঁর সাহসিকতা, জাতির জন্য অবদানের প্রতি সম্মান জানাতেই প্রতি বছর নেতাজির জন্ম জয়ন্তী শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়। ২৩ শে জানুয়ারি এই বিশেষ দিনটির অপর নাম পরাক্রম দিবস (Parakram Divas)।

২৩ শে জানুয়ারির দিন কেন পরাক্রম দিবস-

২০২১ সালে নেতাজির জন্মদিনকেই বিশেষ নাম দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সেই নাম অনুযায়ী ২৩ জানুয়ারি এই বছর থেকে পরাক্রম দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। গত বছর এই পরাক্রম দিবস নামে কেন্দ্র সরকার এই দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করে থাকে। এবারেও তার অন্যথা হবে না।

২০২১ সালে কলকাতার ভিক্টোরিয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ২৩ তারিখ কলকাতার অনুষ্ঠানটির আগের রাতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির টুইটার প্রোফাইল থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানেই পরাক্রম দিবসের ট্যাগ দিয়ে এই বিশেষ দিনটির কথা জানানো হয়।

এই দিন ঘোষণার পরে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নির্দেশ জারি জানানো হয় ‘নেতাজির জন্মদিন বিশেষ ভাবে পালন করার উদ্দেশ্য হল দেশের সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করা। বিশেষ করে দেশের যুব সমাজকে দেশ ও সমাজমুখী করে তোলা সহ দেশপ্রেমে জাগ্রত করা’।

সেই বিজ্ঞপ্তিতেই জানানো হয়, প্রতি বছর পরাক্রম দিবস হিসেবে পালিত হবে। ২০২১ সাল থেকেই চলে আসছে এই নিয়ম।  তবে এই নাম নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি, দেশনায়ক দিবস না হয়ে, কেন সেটি পরাক্রম দিবস নাম দেওয়া হয় তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়।

দেশকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তি দিতে প্রাণপ্রণ লড়েছিলেন এই বঙ্গ সন্তান। তাঁর নাম আজও সাড়া বিশ্বে সমানভাবে চর্চিত। সুভাষচন্দ্র বসু জন্মজয়ন্তী আমাদের জাতির জন্য তাঁর আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তাঁর সাহস এবং সাম্যের প্রতি অবিচল বিশ্বাস, জীবন সংগ্রাম, দৃঢ়তা প্রকৃত অর্থে তিনি ছিলেন এক যথার্থ নেতা। সেই সঙ্গে ছিল তাঁর দেশের প্রতি প্রগাঢ় প্রেম, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা।

এই দিনটিতে দেশ জুড়ে স্কুল, কলেজ এবং বিভিন্ন সংগঠন এই বীর নায়ককে শ্রদ্ধা জানায়। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় বিশেষভাবে দিনটিকে পালন করা হয়ে থাকে।

দেখুন অন্য খবর:

 

 

 

Read More

Latest News